অজানাকে জানা

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বামীকে ত্যাগ করে মহাপ্রভুর ভজনা করা কি উচিত?

এর মূল উদাহরন হল মীরাবাঈ।তিনি রাজরানী ছিলেন।কিন্তু,রাজাকে পরিত্যাগ করে নয়,রাজার স্বামীত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে তিনি কৃষ্ণ সাধনায় রত ছিলেন এবং ঈশ্বর লাভ করে ছিলেন গানের ডালির মাধ্যমে। সনাতন ধর্মে বিবাহ বিচ্ছেদ বলে কোন কথা নেই,তবে অবস্হা অনুসারে তাহা বিবেচনাধীন।মহিলা যদি স্বামীত্ব বজায় রেখে আখড়ার সেবা কার্য করে তাতে কোন দোষ নেই। স্বামী পরম গুরু হওয়া সত্ত্বেও, অনেক মহিলা আছেন যারা ঈশ্বর সাধনায় রত ছিলেন। কিন্তু,আগে অবশ্যই স্বামীর সেবা করা করনীয়। তাহলে,তাহা সফল হবেনা, কারন ভগবান নিজেই বলেছেন আদ্য কর গুরু সেবা পরে কর আমার সেবা।

হিন্দুর্মে কি কারনে কোন বিবাহ অবৈধ বলে বিবেচিত হয়?

প্রথমতঃ হিন্দুবিবাহ চুক্তি নয়,ব্রত।এ আঙ্গিকে দলিল করে বিবাহ শাস্ত্রবিহিত নয়।
দ্বিতীয়তয়ঃ সাবালিকা না হলে কন্যা পাত্রের হাতে তুলে দিলে,তাহা শাস্ত্রবিরুদ্ব আচরন বলে বিবেচিত হবে।
তৃতীয়তঃ কন্যা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ প্রদান করিলে তাহা শাস্ত্রবিরুদ্ধ আচরন বলে বিবেচিত হবে।
চতুর্থতঃ সৎ পাত্র দেখে কন্যাকে অবশ্যই দান করতে হবে, তানাহলে তাহা শাস্ত্রবিরুদ্ধ আচরন বলে বিবেচিত হবে।

সদগুরুর সাধন বলতে কি বুঝায়।

সনাতন ধর্মে সাধনার পথ অনেক রকমের।রামকৃষ্ণের ভাষায় যত মত তত পথ। তাই কোন মত অবলম্বন করলে,তাহা  হতে মুক্তি লাভ করার অবশ্যই পথ থাকবে, তবে তাহা নিজের খুঁজে নিতে হবে।সাধনায় সিদ্ধি লাভ করলেই যে তিনি সদগুরু  হবেন তাহাও নয়।কেউ কেউ সদগুরুর আসন অলংকৃত করেন,কেউ কেউ তাহা করেন না।যেমন চৈতন্যমহাপ্রভু,লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারী,শ্রীরামকৃষ্ণ এরা সিদ্ধ মহাপুরুষ কিন্তু, কাউকে দীক্ষা দেননি। চৈতন্য মহাপ্রভুকে আমরা সবাই ঈশ্বর বলে মানি,তবুও তিনি দেহ ধারন করে মানুষের মাঝেই ছিলেন। সাধনপ্রনালী ঠিক ঠিক বলে দেওয়া সম্ভব নয়।তাহা গুরু নির্দেশিত

সাধনা কত প্রকার?

হিন্দু ধর্মে সাধনার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।তবে কোন পথে সাধনা করলে অতি তাড়াতাড়ি ভগবানের চরন দর্শন পাওয়া যাবে তাহা,একমাত্র দীক্ষা গুরু বলতে পারেন।তাহার আদেশ মত উপাসনা করলে ভগবানের চরন দর্শন পাওয়া যাবে অতি সহজে।তবে গীতার বানী, অনুসারে সবাই শাস্ত্র অনুসরন করে আরাধনার কথা বলা হয়েছে।শাস্ত্র অনুসরন না করে, একমাত্র ভক্তি দ্বারাই তাহার চরন পাওয়া সম্ভব।

গুরু বড় নাকি দেবতা?

দেবদেবী সকল সম্পদ যোগান দেওয়ার মালিক।তারা একেক জন একেক শক্তির অধিকারী,সম্পদের পাহাড় তারা।একটি উদাহরন দিয়ে বলা যাক,কোন রাষ্টের প্রধানমন্ত্রী সকল ক্ষমতার উৎস।তাহার অধীনে অনেক মন্ত্রী বিদ্যমান।তারা একেক জন একেক ক্ষমতার অধিকারী। মন্ত্রী কোন অর্থের যোগান দিলে প্রধানমন্ত্রীর শরনাপন্ন হন,তিনি দিলে মন্ত্রী তাহা দিতে সক্ষম,তানাহলে মন্ত্রী অক্ষম।তাহলে বুঝা গেল দেবদেবীর হাতে কোন পাওয়ার নেই সব জগত গুরু অথবা মানুষ নামক গুরুর হাতে।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

তুলসীদেবীকে শিব ও গনেশের অভিশাপ

তুলসীপত্র শিবলিঙ্গে প্রদানের ব্যাপারে কড়া বিিধনিষেধ জারি করে হিন্দু পরম্পরা।পুরান অনুসারে তুলসীদেবী ছিলেন মহাপরাক্রমশালী অসুর জলান্ধের(শঙ্খাচূড়)স্ত্রী। দেববরে অজেয় হয়ে জলান্ধর বিরাট প্রতিপত্তি লাভ করেন।এমতাব্স্থায় শিব, বিষ্ণু ছলনায় আশ্রয় নিয়ে জলান্ধরকে হত্যা করেন।ক্ষুব্ধ তুলসীকে সন্তুষ্ট করতে বিষ্ণু তাকে বর দেন।তিনি বিষ্ণু পদে স্হায়ী আসন লাভ করেন।কিন্তু,শিবকে ক্ষমা করেননি তুলসী,তিনি শিবকে অভিশাপ দেন।সেই থেকে শিব পূজায় তুলসী দেওয়া নিষিদ্ধ হয়।আরেকটি মতবাদ,পুরানের কথা অনুসারে,একদিন তরুন গনপতি গনেশকে তুলসী ধ্যানস্থ দেখে,তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে,তার প্রেমে পড়েন তুলসী দেবী।কিন্তু গনেশ জানান তিনি কঠিন প্রতিজ্ঞা বদ্ধ,তিনি ব্রক্ষ্মচারী।প্রেম বা বিবাহ তার পক্ষে অসম্ভব।তিনি গনেশকে অভিশাপ দেন ব্রক্ষচর্য পালন করা তার পক্ষে স্হায়ী হবেনা।গনেশও তাকে অভিশাপ দেন যে,তিনি পশুর স্ত্রী রূপে পরিনত হবেন।পরে তুলসী গনেশের কাছে ক্ষমা চাইলে,গনেশ তাকে জানান,তুলসী দেবত্বপ্রাপ্ত হবেন।কিন্তু,তার পূজায় তুলসী ব্যবহৃত হবেনা।গৃহের অভ্যন্তরে তুলসীবৃক্ষ স্হাপন নিষিদ্ধ হয়।আরেকটি পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে তুলসী দেবীর স্বামীর মৃত্যুর পর বিষ্ণু,তুলসীকে বর দান করেন।বর অনুসারে তুলসী বিষ্ণুকে জানান তাকে গৃহে নিয়ে যাওয়ার জন্য,কিন্তু,বিষ্ণু জানান তার গৃহে লক্ষ্মী রয়েছে সেখানে তুলসী থাকতে পারেনা।ফলে তুলসীর স্হান গৃহে না হয়ে হয় গৃহাঙ্গনে।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

তুলসীদেবীর জম্মবৃত্তান্ত

যস্যা দেবাস্ত্ত লীনাস্ত্ত বিশ্বেষু অখিলেষুচ,তুলসীতেন বিখ্যাত।
সরলার্থ:এ অখিল জগতে যে দেবীর তুলনা নেই,তিনিই তুলসী নামে বিখ্যাত হয়েছেন।
তুলসীনামে গোলকে শ্রীকৃষ্ণপ্রিয়া শ্রীরাধিকার এক সহচরী ছিলেন।শ্রীরাধিকা তাকে মানবযোনি লাভের অভিশাপ দেন।,তখন তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরনাপন্ন হন।শ্রীকৃষ্ণ তুলসীকে বললেন যে,তুলসী মানবযোনিতে জন্মগৃহন করলে,তপস্যাবলে নারায়নের অংশ লাভ করবেন।অভিশাপ অনুসারে তুলসী জগতে ধর্মরাজ নামে রাজার এবং তার স্ত্রী মাধবীদেবীর কন্যারূপে জন্মগৃহন করেন।তুলসী অতুলনীয় রূপ লাবন্যের অধিকারী হন।পরে তুলসী বনে গিয়ে ব্রক্ষ্মার তপস্যা নিমগ্ন হন,ব্রক্ষ্মাদেব তার সাধনায় মুগ্ধ হয়ে তাকে বর চাইতে বলেন।তুলসী নারায়নকে পত্নীরূপে পাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন।ব্রক্ষ্মা বললেন যে,তুলসী দানবরূপী শঙ্খচূড়কে বিবাহ করলে নারায়ন প্রাপ্তি ম্ভব হবে।নারায়নের আর্শিবাদে তুলসীবৃক্ষ রূপে জন্ম নিবে,বিশ্বপাবকে পূজা পাবে।তুলসী ব্যতিত নারায়ন পূজা বিফল হবে।
তুলসী কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ধরাধামে জন্মগৃহন করেন।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

শ্যাম বাউল গোস্বামী

শ্রী শ্রী শ্যাম বাউল গোস্বামী(সপ্তদশ শতাব্দী) ছিলেন ইষ্ট সাধনায়  সিদ্বি লাভে সমর্থ,অলোকিক শক্তি লাভের অধিকারী,যুগসিদ্ধ এক মহাপুরুষ।শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গেসাইর নিকট তিনি দীক্ষা লাভ করেন,এবং বৈষনব ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি বানিয়াচং আসেন।অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে অবশেষে তিনি যাত্রাপাশা মহল্লায় আখড়া স্হাপন করেন।তিনি অসহায় জীবের পরিত্রানকারী হিসেবে,মানুষের অন্তরে স্হান করে নিয়েছিলেন।শ্যাম বাউলের বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ও ভারতে অনেক ভক্ত ও শিষ্য রয়েছে।প্রতি বছর আখড়ার সন্নিকটে তার স্মারনে চৈত্রমাসের অষ্টমীর মেলা অনুষ্ঠিত হয়।তার জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।শ্যাম বাউলের আখড়া শ্যামবাউল নামে এক সাধক কর্তৃক এই আখড়া প্রতিষ্ঠিত হয়।বানিয়াচঙ্গের সর্বদক্ষিনে যাত্রাপাশার দক্ষিন প্রান্তে এ আখড়াটি অবস্থিত।শ্যাম বাউল জগন্মোহনীবাউল বৈষনব ধর্মানুসারী ছিলেন।লাখাই উপজেলার বাঘাসুরা নিবাসী,জগম্মোহন গোসাই প্রায় তিনশত বছর পূর্বে এ  ধর্মমতের প্রবর্তন করেন।এ ধর্মমতে গুরুকে প্রত্যক্ষ ভগবান জ্ঞানক্রমে গুরুকে উপাস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এরা কোন মূর্তিপূজা করেনা তত্বগতদিকে পুরুষদের ব্রক্ষ্মচর্য অবশ্যই পালনীয়।স্হানীয়ভাবে এ সম্প্রদায়ের লোকদের বৈরাগী বলে আখ্যায়িত করা হয়।কৈর্বত সমাজে এ ধর্মমতের প্রচলন সর্বাধিক।বারুনী উপলক্ষে হিন্দু,মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বহুলোক সমাগম হয়।অনেকের বিশ্বাস শ্যাম বাউলের আখড়ায় বারুনী উপলক্ষে অপরাহ্নে অনেক ঝড়,তুফান হয়ে থাকে।

বিঃদ্রঃ বিস্তারিত আখড়া দর্শনে


মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোসাই

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোসাইদাস বংশীয় বনমালীর ওরশে ও জাহ্নবীর গর্ভে ১৫৭৬ সালে জন্ম গৃহন করেন।তিনি অগাধ জ্ঞান ও আধ্যাতিক শক্তির অধিকারী ছিলেন।তিনি হিন্দু ধর্মীয় সমাজের জ্ঞান ভান্ডার প্লাবিত করেছিলেন।তিনি জগন্মোহন গোসাই শিষ্য শান্ত গোসাইর দ্বারা দীক্ষালাভ করেন।ভারতের নানাস্থান ঘুরে অবশেষে তিনি বিথঙ্গলে আখড়া স্হাপন করেন।শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোসাই স্থানে স্থানে হিন্দু সমাজের লোকদের একত্রিত করে,তাদের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান প্রদান করে তিনু স্মারনীয় হয়ে আছেন।তার মৃত্যুর অনেক পর তার স্মারনে বানিচং সদর থেকে ১৮ কি.মি পশ্চিমে বিথঙ্গল গ্রামে উপসনার জন্য একটি আখড়া প্রতিষ্ঠা করা হয়।ত্রিপুরার মহারাজা প্রতি বছর এই আখড়ায় আসতেন।এখনো হিন্দু,মুসলিম দর্শনার্থীরা প্রতিদিন আখড়ায় এসে রোগমুক্তির জন্য আখড়ার মোহন্তের থেকে পানি পড়া নিয়ে যান

শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কলিযুগ

আক্ষরিকভাবে কলির যুগ বা পাপের যুগ হল হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী চার যুগের শ্রেষ্ঠ যুগ।অন্য যুগ গুলো হল, সত্যযুগ,ত্রেতাযুগ,দ্বাপরযুগ।মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্নিমা তিথিতে শুক্রবারে কলিযুগের উৎপত্তি।এর পরিমান ৪৩২০০ বছর।পূণ্য এক ভাগ পাপ তিন ভাগ।অবতার কল্কি।মানুষের আয়ু ১২০ বছর।নিজের হাতে সাড়ে তিন হাত,নিজের শরীরের আয়তন।প্রান অন্নে।তীর্থ গঙ্গা।সব পাত্র ব্যবহার করা হয়।ধর্ম সংকোচিত,মানুষ্ তপস্যাহীন।সত্য থেকে দূরে অবস্থানরত।শাসক ধনলোভী,ব্রাক্ষন শাস্রহীন।পুরুষ স্ত্রীর অনুগত,পাপে অনুরক্ত।সৎ মানুষের কষ্টবৃদ্বি,দুষ্টের প্রভাব বৃদ্ধি। তারক বৃক্ষ নাম,হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ  হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।

সময় পরিমান
বেদব্যাস রচিত বিষ্ণু পুরানে বলা হয়েছে,কৃষ্ণের পৃথিবী ত্যাগ করে স্বর্গারোহন সময় থেকে পৃথিবীতে কলিযুগের সূচনা হয়েছে।

সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৬

জীব গোস্বামীর জীবনী

জীব গোস্বামী (আনুমানিক ১৫১৪-১৫১৮) ছিলেল রূপ সনাতনের ভাতুষপুত্র,রামকেলিতে তার জন্ম।জীবের প্রাথমিক শিক্ষা জীবন গৌড়ে অতিবাহিত হয়।পরে নিত্যনন্দের সঙ্গে স্বাক্ষাতের জন্য তিনি নবদ্বীপ যান,এবং তার আদেশে কাশীতে পন্ডীত মধুসূদন বাচস্পতির নিকট নানা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।এখানেই পিতৃব্য রূপ,সনাতনের সঙ্গে তার স্বাক্ষাত হয়,এবং রূপ গোস্বামী তাকে বৈষনব ধর্মে দীক্ষা দেন।তাদের সানিধ্যে জীব জ্ঞানসাধনায় আরো উৎকর্ষ লাভ করেন।তাদের তিরোধানের পর জীব গোস্বামী বৃন্দাবনে গৌড়ীয় বৈষনব সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দেন।কৃষ্ণ মূর্তির বামে রাধা মূর্তি বসিয়ে যুগল রূপে পূজা প্রবর্তনে তিনি উৎসাহী ছিলেন।জীব বাল্যকাল থেকেই শ্রীচৈতন্যের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন।দীক্ষা গৃহনের পর তার সেই অনুরাগ আরো বৃদ্ধি পায়।চৈতন্য তথা বৈষনব ধর্ম তাকে মোহিত করে।তিনি বৈষনব ধর্ম ও তন্ত্র বিষয়ক নানা গৃন্থ রচনা করেন।তার রচিত ষটসন্দর্ভ একটি বিখ্যাত দার্শনিক গৃন্থ।এতে ছয়টি সন্দর্ভ বা অধ্যায় আছে এবং তাতে বিভিন্ন দার্শনিক তত্ব আলেচিত হয়েছে।জীব গোস্বামীর রচিত আরে কয়েকটি গৃন্থ হল:গোপাল চম্পু,হরিনামামৃত ব্যাকরন,ধাতুৃৃমূত্র মালিকা,মাধবমহোৎসব,সংকল্পদ্রম ও সারসংগৃহ,এছাড়াও তিনি উজ্জ্বলনীলামনি,ভক্তিসারমৃতসিন্ধু, গোপাল তাপনী ও ভাগবতের টীকা রচনা করেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬

গোপাল ভট্র জীবনী

গোপাল ভট্ট(আনুমানিক ১৫০০-১৫৮৫)দক্ষিন ভারতের অধিবাসী ছিলেন।মুরারী গুপ্তের কড়চা থেকে জানা যায় যে তার বাল্যকাল চৈতন্যদেবের দাক্ষিণাত্যের যাত্রার পথে তাদের গৃহে আথিত্য গৃহন করেন।তখন চৈতন্যদেবের প্রতি তার ভক্তি দেখে পিতা ত্রিমল ভট্র(মতান্তরে বেঙ্কক ভট্র) পুত্রকে পিতার চরনে সমর্পন করেন।চৈতন্যদেব তাকে আর্শীবাদ করেন এবং তারই আদেশে পিতামাতার সেবান্তে বৃন্দাবনে গিয়ে তিনি অন্যান্য গোস্বামীর স্বাক্ষাত লাভ করেন।চৈতন্যদেব নীলাচল থেকে তার জন্য নিজ কোপিন ও একটি কাচের আসন পাঠান।বৃন্দাবনে কাচের পিড়া নামক সেই আসনটি রাধার মন মন্দিরে এখনও পূজিত হয়।এই মন্দিরের পিছনেই গোপালের সমাধি রয়েছে।গোপাল সংস্কৃত ভাষায় ও দর্শনে সুপন্ডিত ছিলেন।তিনি কৃষ্ণ কথামৃত নাটকের শ্রীকৃষ্ণবল্লভা নামে একটি টীকার রচনা করেন।রূপ,সনাতনের মুখে তত্ব বিচার শুনে তিনি সূত্রাকারে ষটসন্দর্ভ গৃন্থের একটি কারিকা লেখেন।সংস্কৃত সাহিত্য পরিষৎ গৃন্থাগারে গোপাল ভট্রের লেখা দান খন্ড নামে একটি পুথি(নং ৪২৭) আছে।হরিভক্তি বিলাস নামে অপর একটি গৃন্থ গোপাল ভট্রের লেখা বলে কথিত আছে।যদিও কারো কারো মতেহ রিভক্তি সনাতনের রচনা,গোপাল পরে এর বিষয় বস্তুকে বিস্তৃত করেন।

রঘুনাথ ভট্র জীবনী

রঘুনাথ ভট্র(আনুমানিক ১৫০৬-১৫৮০) বৃন্দাবনে লুপ্ততীর্থ ও লুপ্তবিগৃহ উদ্বার করে গুরূত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।এছাড়া বর্তমানে বৈষনব যে ৮৪ ক্রোশ বন পরিক্রমা করেন,সেগুলি নির্ধারনে তার অবদান ছিল।রঘুনাথের পিতার নাম তপন মিশ্র।শ্রীচৈতন্য পূর্ববঙ্গ ভ্রমনে এসে পদ্মার তীরবর্তী রামপুর গ্রামে তপন মিশ্রের আতিথ্য গৃহন করেন এবং তার পর রঘুনাথকে ভক্তিতত্ব শিক্ষা দেন।রঘুনাথ কাশিতে বিবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে পান্ডিত্য অর্জন করেন।তিনি নীলাচলে শ্রীচৈতন্যের লীলা পৃত্যক্ষ করেন।পিতা,মাতার মৃত্যুর পর তিনি বৃন্দাবনে যান এবং রূপ সনাতনের সঙ্গ লাভ করেন।সেখানে তিনি ভাগবতের শ্রেষ্ঠ পাঠক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৬

রঘুনাথ দাস জীবনী

রঘুনাথ দাস( আনুমানিক ১৪৯০-১৫৭৭)সপ্তগ্রামের হরিপুর নামক স্থানে জন্ম গৃহন করেন।তিনি গৃহ পুরোহিত বলরাম আচার্যের নিকট শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।বাল্যকাল থেকে তার মধ্যে বৈরাগ্যের লক্ষন প্রকাশ পায়।তিনি হরিদাস ঠাকুরের ব্যক্তিত্ব ও ভক্তিতে মুগ্ধ হয়ে তার সেবা গৃহন করেন।এবং যবন হরিদাসের কৃষ্ণ ভজন হন।এ সময় চৈতন্যদেবের নাম শুনে তিনি তার চরনে নিজেকে সমর্পন করেন,এবং একদিন গোপনে গৃহত্যাগ করে তার সঙ্গে নীলাচলে মিলিত হন।চৈতন্যদেব তাকে স্বরূপ দামাদরের তত্বাবধানে অর্পন করেন।এজন্য রঘুনাথকে স্বরূপের রঘু বলা হত।রঘুনাথ ১৬ বছর নীলাচলে ছিলেন।শ্রীচৈতন্য ও স্বরূপ দামোদরের তীরোধানের পর তিনি বৃন্দাবনে রূপ,সনাতনের আশ্রয় গৃহন করেন।রথুনাথ নীলাচল ও বৃন্দাবনে নিত্য জীবচর্চায় ও প্রসাদ গৃহন কারীর নিয়ম পালন করতেন।তিনি রাধাকুন্ড ও শ্যামকুন্ড উদ্বার করেন,এবং রাধাকুন্ড সংস্কার করে বাকি জীবন সেখানে অতিবাহিত করেন।শেষ জীবনে তিনি আহার নিদ্রা ত্যাগ করে রাধাকুন্ডেশ্বরের তীরে বসে সবর্দা রাধাকৃষ নাম জপ করে নিংসঙ্গ জীবন যাপন করতেন।তার আচরন ও নিষ্ঠা গোস্বামীদের মধ্যে অতি বিরল।রঘুনাথ দাস রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গৃন্থ হল,স্তবাবলী,দান চরিত বা শ্রীদানকোলচিন্তামনি,শ্রীনামচরিত ইত্যাদি।

রূপ গোস্বামীর জীবনী

রূপ গোস্বামী আনুমানিক(১৪৭০-১৫৫৯) ছিলেন সনাতনের অনুজ।রামকেলিতে তার জন্ম।তার পিত্রদত্ত নাম সন্তোষ।কিন্তু চৈতন্যদেব প্রদত্ত রূপ নামেই তিনি পরিচিত।রূপও সুলতান হুসেন শাহের দরবারে রাজ কর্মচারীর চাকরি করতেন।তিনি ছিলেন সুলতানের প্রধানের সচিব।রূপ গোস্বামী বাল্যকাল থেকেই ছিলেন কৃষ্ণ ভক্ত।চৈতন্যদেব যখন বিন্দাবনে যাচ্ছিলেন তখন রূপ তাকে প্রয়োগ দর্শন করান এবং তার নিকট ভক্তি তত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করেন।মহাপ্রভুর নির্দশে বৃন্দাবনে গিয়ে তিনি লুপ্ত তীর্থ ও লুপ্ত বিগৃহ উদ্বার করেন,এবংকয়েকটি বৈষনব গৃন্থ রচনা করেন।তার উল্লেখযোগ্য গৃন্থ হল হংসদূত,উদ্ধব সন্দেশ,বিদগ্ধমাধব,ললিতমাধব,দানকেলিকৌমুদি,ভক্তিরসামৃতসিন্ধু,উজ্জ্বলমীলমনি,নাটকচন্দ্রকা,বিলাপকুসমন্জালী উপদেশামৃত,গোবিন্দবিরুদাবলী,অষ্টাদশলীলা ইত্যাদি।ষড় গোস্বামীর মধ্যে রূপ গোস্বামী কবিত্ব শক্তি ও পান্ডিত্য শক্তি অধিক কেননা তিনি যেসব প্রামান্য গৃন্থ রচনা করেছেন,সেগুলো শুধু সংখ্যা হিসেবেই নয় কাব্য ও রসবিচারে উত্তম বলে বিবেচিত।

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

রাজশাহী গোদাগাড়ি উপজেলার খেতুরীধাম

নরত্তোম দাস ঠাকুর,তার লীলা জীবনে তিনি কোনদিন ভোগবিলাসে মত্ত হননি।রাজশাহী জেলার খেতুরী ধাম বৈষনবদের মিলন মেলা।ঠাকুর নরত্তোম দাস সমস্ত বৈষনবদের একত্র করে খেতুরী সম্মেলনের আয়োজন করেন।তার এই মেলা খেতুরী মহাৎসব নামে পরিচিত।তার স্মারনে প্রতি বছর কার্তিক মাসে এই মহামেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সনাতন গোস্বামীর জীবনী

সনাতন গোস্বামী ১৪৮০ সালে জন্মগৃহন করেন।শ্রীচেতন্যের অনুসারী বৈষনব কবি ও কাব্য রচয়িতা হিসাবে,যশোরের ৩ জন ব্যক্তিকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয়।তারা হলেন।১.সনাতন গোস্বামী।২.রূপ গোস্বামী ও। ৩.জীব গোস্বামী।সনাতন গোস্বামী এবং রূপ গোস্বামী ছিলেন সহোদর।জীীব গোস্বামী ছিলেন তাদের ভাইপো।এই পরিবারটি স্বাধীন সুলতানী আমলের এক ছোট সামান্ত সমাজের অংশ বিশেষ।এদের পূর্ব পুরুষেরা বর্তমান পশ্চিম বঙ্গের নৈহাটিতে বসবাস করতেন।এই পরিবারের এক সদস্য পারিবারিক কলহের কারনে নৈহাটি থেকে ফতেয়াবাদে চলে আসেন।ফতেয়াবাদ স্বাধীন সুলতানী আমলে ছিল একটি সরকার।ফতেয়াবাদ এক সময় সন্দীপ থেকে শুরু করে বর্তমানে,ফরিদপুর,বরিশাল,খুলনা ও যশোরের অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত ছিল।স্হানীয় প্রবাদ ও প্রমানাদি থেকে জানা যায়,নৈহাটি থেকে চলে আসা কুমারের পরিবারটি বর্তমান যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার প্রেমভাগে বসতি স্হাপন করেন।এই প্রেমভাগে সনাতন গোস্বামী ১৪৮০ সালে জন্ম গৃহন করেন।এই পরিবারে কর্তিত ৭টি দিঘি আজও প্রেনভাগে বিদ্যমান।সনাতন গোস্বামীরর পিতার দেওয়া নাম ছিল অমর।শ্রীচৈতন্যদেব অমরের নাম রাখেন সনাতন।স্হানীয় সংস্কৃত টোলে সনাতন গোস্বামী প্রাথমিক লেখাপড়া শেষ করেন।এক সময় তিনি বাংলার সুলতান হুসেন শাহের সরকারের চাকরি গৃহন করেন।তার পদের নাম ছিল শাকের মল্লিক।কথিত আছে সনাতন গোস্বামী এক সময় এক গরীব ব্রামনের বসতবাড়ি দখল করেন।এই লোকটি তার বসতবাড়ি দখলের বিষয়টি তার ছোট ভাই রূপ গোস্বামীকে জানান।রূপ তার সহোদরকে একটি সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে সাবধান করেন।এর পর সনাতন গোস্বামীী মনের মধ্যে বিপুল পরিবর্তন দেখা দেয়।তিনি বিষয় বৈভব ত্যাগ করে বৃন্দাবনে গমন করেন এবং বৈষনব ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।এরপর শ্রীচৈতন্যদেবের সানিধ্য লাভ করেন।তিনি ১৫৫৮ সালে দেহ ত্যাগ করেন।

ষড় গোস্বামীর বিস্তার

ষড় গোস্বামী সনাতন ধর্মের এক দল মহান সাধকদের নাম।এই ছয় জন গোস্বামী,সবাই মহাপ্রভুর সানিধ্য লাভ করেছিলেন।যাদের জন্ম না হলে সনাতন ধর্মে কোনদিন, বৈষনবদের উৎপত্তি বিস্তার লাভ করতো না।তারাই সনাতন ধর্মের ছয় গোস্বামী নামে পরিচিত।একে একে এই ছয়জন গোস্বামীর পরিচয় তুলে ধরা হবে।

নরত্তোম দাস ঠাকুরের জীবন আলোচনা

একদিন মহাপ্রভু রাজশাহী জেলার পদ্মার তীরবর্তী গোপালপুর গ্রামে আগমন করেন,সেখানে এসে মহাপ্রভু নরত্তোম-নরত্তোম বলে কেঁদে উঠলেন।এরপর বহুবছর পর পদ্মার নদীর নিকটে গোপালপুর নগরে রাজা কৃষ্ণনন্দের ঔরশে ও নারায়নী দেবীর গর্ভে ১৫৩১খ্রিস্টাব্দে মাঘ মাসের শুক্ল পনজ্মীতে শ্রী নরত্তোম দাস ঠাকুর জন্ম গৃহন করেন।তার পিতার অগাধ সম্পত্তি ছিল,কিন্তু কোনদিন ভোগবিলাস তার জীবনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারেনি।বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার ভিতরে জন্ম নেয় অগাধ ভক্তি।এই মহান সাধক,এই সুন্দর রাজ ভোগের কথা চিন্তা না করে,বিলসসিতার প্রতি মর্ত্য না হয়ে ভগবানের প্রেমে সবসময় নিজেকে আত্মউৎসর্গ করেন।তার বাবা সবসময় চাইতেন তার একমাত্র সন্তান সারাজীবন তার রাজ্যভার দেখাশুনা করবেন।কিন্তু সেদিকে তার কোন মন ছিল না।সবসময় তিনি ভক্তি এবং মুক্তির কথা ভাবতেন।একবার তার পিতা রাজকার্য পরিচালনার সুবিধে অন্য জায়গায় গমন করেন,সেই সুযোগে নরত্তোম দাস ঠাকুর তার পিতার অনুপস্থিতে গভীর রাতে কৌশলে মায়ের কাছ বিদায় নিয়ে রাজভোগ ত্যাগ করে তিনি দীক্ষালাভের জন্য বৃন্দাবন গমন করেন।সেখানে লোকনাথ গোস্বামীর ভজন কুটিরে শ্রী জীব গোস্বামী ও শ্রীনিবাস আচার্য গোস্বামীর সঙ্গে নরত্তোম দাস ঠাকুরের সাক্ষাত হয়। লোকনাথ গোস্বামী থেকে তিনি রাধাকৃন্ষ মন্ত্রে দীক্ষা লাভের পর তিনি গুরু সেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন,এবং শ্রীজীব গোস্বামীর থেকে গৃন্থশাস্ত্র অধ্যয়ন করে বৈষনব দরর্শনের উপর বিশাল জ্ঞান লাভ করেন।শ্রীজীব গোস্বামী তার জ্ঞানে ও গুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে ঠাকুর মহাশয় উপাধিতে ভূষিত করেন। একবার ঠাকুর নরত্তোম দাস শ্রীনিবাস আশ্চর্যের সঙ্গে হিন্দুধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে গৌড়দেশে গমন করেন,পথিমধ্যে ধর্মীয় গৃন্থগুলো চুরি হয়ে যায়।শ্রীনিবাসের আদেশ অনুসারে তিনি সন্যাস বেশে গোদাগারি খেতুরি ধামে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।সেখানে ফিরে আসার পর নানা অকল্পনীয় কাজের সমাধানের জন্ তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে,ঠাকুর নরত্তোম তার নিজ এলাকায় মন্দির স্হাপন করেন।সেখানে তিনি গভীর রাত পর্যন্ত গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন।দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা তার কাছে আসতেন শিষ্যত্ব গৃহন করার জন্য,তিনি জাতে কায়স্থের ছেলে ছিলেন লোকে তাকে অবন্জ্ঞা করতেন।কিন্তু পরবর্তীতে তার আধ্যাত্মিক গুনের কারনে হাজার হাজার লোক তার শিষ্যত্ব গৃহন করেন। তার দুই প্রিয় শিষ্য গঙ্গানারায়ন গোস্বামী ও রামকৃষ্ণ গোস্বামী,তাকে মার্জনা করার জন্য নদীর ঘাটে নামেন,সেখানে ঠাকুর নরত্তোমকে সারা শরীর দুধ লেপন করেন।দুধ লেপন করতে করতে তিনি নদীর জলে বিলীন হয়ে যান।১৬১১ খ্রিস্টাব্দে কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পন্ঝমী তিথিতে এই সত্যের মহান সাধক ইহলীলা সংবরন করেন।


রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

নরত্তোম দাস ঠাকুরের জীবনী

নরত্তোম দাস ঠাকুর,যিনি ঠাকুর মহাশয় নামে পরিচিত।নরত্তোম দাস ঠাকুর ১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গৃহন করেন।তার পিতার নাম সুরানন্দ, মাতার নাম নারায়নী দেবী।নরত্তোম দাস ঠাকুর গৌধূলী লগ্নে জন্ম গৃহন করেন তার জন্মের পর জোতিষ মহাশয় তার ভাগ্য গননা করে হতভম্ব হয়ে পড়েন।

শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬

ষড় গোস্বামী

ষড় গোস্বামী ছয় জন বৈষনব সাধক ও পন্ডিত।তারা হলেন।১.সনাতন গোস্বামী।২. রূপ গোস্বামী।৩. রঘুনাথ গোস্বামী ৪. গোপাল ভট্র গোস্বামীও ৫. জীব গোস্বামী।এই ছয় জনকে গৌড়ীয় বৈষনবগন ষড় গোস্বামী নামে অভিহিত করেন।এরা কমবেশি সকলে চৈতন্যদেবের সানিধ্য লাভ করেছেন

জগম্মোহন গোসাইর আখড়া

জগতে যে কয়জন মহান সাধকের জন্ম হয়েছিল জগন্মোহন গোসাই তাদের মধ্যে অন্যতম।গুরুী প্রতি মাথানত করা আমাদের দায়িত্ব সাধন জীবনের অন্যতম প্রন্থা হল গুরুর প্রতি শ্রদ্বা প্রদর্শন করা।গুরু কোন সাধারন মানব নন।তিনি ভগবান দরর্শন লাভের অধিকারী গীতায় ভগবান বলেছেন গুরু কোন সাধারন মানব,আমাকে যে আসনে,গুরুকেও একই আসনে দেখতে হবে।তুমি হয়ত সাধন জীবনে উন্নতি করে মহান, সাধক হয়েছ।কিন্তু তুমি ভূলে যেওনা উনি তোমার নিম্ন সাধনার,উনি তোমার উচ্চ সাধনার গুরু,তাই গুরুকে সাধারন মানব ভাবা উচিত নয়।গুরু শব্দের অর্থ,গু মানে অন্ধকার,রু অর্থ আলো।যিনি অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসেন তিনি গুরু

জগন্মোহনী বাউলের প্রধান আখড়া

জগন্মোহন বাউল এক আধ্যাতিক মহাপুরুষ ছিলেন।জগন্মোহন গোসাই এই আখড়াটি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।তার তিনি এই আখড়ায় সাধনা করতেন।জগন্মোহন বাউলের হাজার ভক্ত,শিষ্য ছিল এবং আছে।তিনি অসাধারন এক মহাপুরুষ ছিলেন।

জগন্মোহনী বাউলদের বিশ্বাস

বাউলদের আদি জগন্মোহনী সম্প্রদায়ের মূলমন্ত্র গুরু সত্য।এরা পরলোকগত গুরুর পাদুকা বা জুতাকে স্বযত্নে সংরখন করে ভক্তি,শ্রদ্বা করে বিয়ে শাদীও হয় তাদের নিজস্ব তরিকায় এরা কোন জাতপাতের ধার ধারেনা,এদের মধ্যে ছোয়াছুইর কোন বালাই নেই এই শ্রেনীর বাউলেরা তিন ভাগে বিভক্ত,গৃহূ,সংযোগী,উদাসী তারা মনে করেন এই জীবনে শ্রষ্টার ভালোবাসা পাওয়া সহজ,কিন্তু তার জন্য প্রচুর সাধনা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬

গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জীবনী নিয়ে আলোচনা

গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু যিনি নিমাই নামে পরিচিত,তিনি বৈষনব ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। তিনি আমাদের জীবনের অন্যতম প্রান পুরুষ ছিলেন।হিংসা,নিন্দা কি জিনিস তিনি তাহা জানতেন না,প্রতিটি মানুষের অন্তরে তিনি বিরাজমান ছিলেন। তিনি সবসম মানুষকে তাদের মুক্তির জন্য,প্রতিটি প্রানীর মুক্তির জন্য সবসময় ব্যকুল থাকতেন।তার উপদেশামৃত গৃহন করে পাপী,তাপী জগাই,মাধাই উদ্বার হয়ে ছিল।ধর্ম প্রচার করতেন মানবের মঙ্গলের জন্যdiv dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">

বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬

জগন্মোহনী বাউল মতবাদ

বাউল মতবাদকে মানষ পুরান বলা হয়। আনুমানিক ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দে হবিগন্জ উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামে জগমোহন গোসাইর জন্ম তার পিতার নাম সুরানন্দ,মাতার নাম কমলা।

জগন্মোহিনী বাউল মতবাদ

বাউল মতবাদ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান মতের মধ্যে একটি।জগমোহন নামে এক আধ্যাত্নিক সাধক এই মতবাদের প্রবর্তক।তার নাম অনুসারে এই মতের নাম করা হয়।জগমোহন গোসাই সবসময় সাধাসিধা জীবন যাপন করতেন।তার সাধনার শ্লোগান ছিল গুরু সত্য।জগমোহন গোসাই হবিগন্জ উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন,তার পিতার নাম সুরানন্দ,মাতার নাম কমলা। জগমোহন গোসাই শ্রীকৃষ্ণের পাশ্বর্চর এবংভক্ত,মুরারী গুপ্তের নিকট দীখকা প্রাপ্ত হন
জগমোহন গোসাইর প্রথম শিষ্যের নাম শান্ত গোসাই,শান্ত গোসাই অসাধারন জ্ঞানী সাধক ছিলেন।