গোপাল ভট্ট(আনুমানিক ১৫০০-১৫৮৫)দক্ষিন ভারতের অধিবাসী ছিলেন।মুরারী গুপ্তের কড়চা থেকে জানা যায় যে তার বাল্যকাল চৈতন্যদেবের দাক্ষিণাত্যের যাত্রার পথে তাদের গৃহে আথিত্য গৃহন করেন।তখন চৈতন্যদেবের প্রতি তার ভক্তি দেখে পিতা ত্রিমল ভট্র(মতান্তরে বেঙ্কক ভট্র) পুত্রকে পিতার চরনে সমর্পন করেন।চৈতন্যদেব তাকে আর্শীবাদ করেন এবং তারই আদেশে পিতামাতার সেবান্তে বৃন্দাবনে গিয়ে তিনি অন্যান্য গোস্বামীর স্বাক্ষাত লাভ করেন।চৈতন্যদেব নীলাচল থেকে তার জন্য নিজ কোপিন ও একটি কাচের আসন পাঠান।বৃন্দাবনে কাচের পিড়া নামক সেই আসনটি রাধার মন মন্দিরে এখনও পূজিত হয়।এই মন্দিরের পিছনেই গোপালের সমাধি রয়েছে।গোপাল সংস্কৃত ভাষায় ও দর্শনে সুপন্ডিত ছিলেন।তিনি কৃষ্ণ কথামৃত নাটকের শ্রীকৃষ্ণবল্লভা নামে একটি টীকার রচনা করেন।রূপ,সনাতনের মুখে তত্ব বিচার শুনে তিনি সূত্রাকারে ষটসন্দর্ভ গৃন্থের একটি কারিকা লেখেন।সংস্কৃত সাহিত্য পরিষৎ গৃন্থাগারে গোপাল ভট্রের লেখা দান খন্ড নামে একটি পুথি(নং ৪২৭) আছে।হরিভক্তি বিলাস নামে অপর একটি গৃন্থ গোপাল ভট্রের লেখা বলে কথিত আছে।যদিও কারো কারো মতেহ রিভক্তি সনাতনের রচনা,গোপাল পরে এর বিষয় বস্তুকে বিস্তৃত করেন।
অজানাকে জানা
বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬
রঘুনাথ ভট্র জীবনী
রঘুনাথ ভট্র(আনুমানিক ১৫০৬-১৫৮০) বৃন্দাবনে লুপ্ততীর্থ ও লুপ্তবিগৃহ উদ্বার করে গুরূত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।এছাড়া বর্তমানে বৈষনব যে ৮৪ ক্রোশ বন পরিক্রমা করেন,সেগুলি নির্ধারনে তার অবদান ছিল।রঘুনাথের পিতার নাম তপন মিশ্র।শ্রীচৈতন্য পূর্ববঙ্গ ভ্রমনে এসে পদ্মার তীরবর্তী রামপুর গ্রামে তপন মিশ্রের আতিথ্য গৃহন করেন এবং তার পর রঘুনাথকে ভক্তিতত্ব শিক্ষা দেন।রঘুনাথ কাশিতে বিবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে পান্ডিত্য অর্জন করেন।তিনি নীলাচলে শ্রীচৈতন্যের লীলা পৃত্যক্ষ করেন।পিতা,মাতার মৃত্যুর পর তিনি বৃন্দাবনে যান এবং রূপ সনাতনের সঙ্গ লাভ করেন।সেখানে তিনি ভাগবতের শ্রেষ্ঠ পাঠক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)