সনাতন গোস্বামী ১৪৮০ সালে জন্মগৃহন করেন।শ্রীচেতন্যের অনুসারী বৈষনব কবি ও কাব্য রচয়িতা হিসাবে,যশোরের ৩ জন ব্যক্তিকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয়।তারা হলেন।১.সনাতন গোস্বামী।২.রূপ গোস্বামী ও। ৩.জীব গোস্বামী।সনাতন গোস্বামী এবং রূপ গোস্বামী ছিলেন সহোদর।জীীব গোস্বামী ছিলেন তাদের ভাইপো।এই পরিবারটি স্বাধীন সুলতানী আমলের এক ছোট সামান্ত সমাজের অংশ বিশেষ।এদের পূর্ব পুরুষেরা বর্তমান পশ্চিম বঙ্গের নৈহাটিতে বসবাস করতেন।এই পরিবারের এক সদস্য পারিবারিক কলহের কারনে নৈহাটি থেকে ফতেয়াবাদে চলে আসেন।ফতেয়াবাদ স্বাধীন সুলতানী আমলে ছিল একটি সরকার।ফতেয়াবাদ এক সময় সন্দীপ থেকে শুরু করে বর্তমানে,ফরিদপুর,বরিশাল,খুলনা ও যশোরের অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত ছিল।স্হানীয় প্রবাদ ও প্রমানাদি থেকে জানা যায়,নৈহাটি থেকে চলে আসা কুমারের পরিবারটি বর্তমান যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার প্রেমভাগে বসতি স্হাপন করেন।এই প্রেমভাগে সনাতন গোস্বামী ১৪৮০ সালে জন্ম গৃহন করেন।এই পরিবারে কর্তিত ৭টি দিঘি আজও প্রেনভাগে বিদ্যমান।সনাতন গোস্বামীরর পিতার দেওয়া নাম ছিল অমর।শ্রীচৈতন্যদেব অমরের নাম রাখেন সনাতন।স্হানীয় সংস্কৃত টোলে সনাতন গোস্বামী প্রাথমিক লেখাপড়া শেষ করেন।এক সময় তিনি বাংলার সুলতান হুসেন শাহের সরকারের চাকরি গৃহন করেন।তার পদের নাম ছিল শাকের মল্লিক।কথিত আছে সনাতন গোস্বামী এক সময় এক গরীব ব্রামনের বসতবাড়ি দখল করেন।এই লোকটি তার বসতবাড়ি দখলের বিষয়টি তার ছোট ভাই রূপ গোস্বামীকে জানান।রূপ তার সহোদরকে একটি সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে সাবধান করেন।এর পর সনাতন গোস্বামীী মনের মধ্যে বিপুল পরিবর্তন দেখা দেয়।তিনি বিষয় বৈভব ত্যাগ করে বৃন্দাবনে গমন করেন এবং বৈষনব ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।এরপর শ্রীচৈতন্যদেবের সানিধ্য লাভ করেন।তিনি ১৫৫৮ সালে দেহ ত্যাগ করেন।