অজানাকে জানা

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

শ্যাম বাউল গোস্বামী

শ্রী শ্রী শ্যাম বাউল গোস্বামী(সপ্তদশ শতাব্দী) ছিলেন ইষ্ট সাধনায়  সিদ্বি লাভে সমর্থ,অলোকিক শক্তি লাভের অধিকারী,যুগসিদ্ধ এক মহাপুরুষ।শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গেসাইর নিকট তিনি দীক্ষা লাভ করেন,এবং বৈষনব ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি বানিয়াচং আসেন।অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে অবশেষে তিনি যাত্রাপাশা মহল্লায় আখড়া স্হাপন করেন।তিনি অসহায় জীবের পরিত্রানকারী হিসেবে,মানুষের অন্তরে স্হান করে নিয়েছিলেন।শ্যাম বাউলের বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ও ভারতে অনেক ভক্ত ও শিষ্য রয়েছে।প্রতি বছর আখড়ার সন্নিকটে তার স্মারনে চৈত্রমাসের অষ্টমীর মেলা অনুষ্ঠিত হয়।তার জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।শ্যাম বাউলের আখড়া শ্যামবাউল নামে এক সাধক কর্তৃক এই আখড়া প্রতিষ্ঠিত হয়।বানিয়াচঙ্গের সর্বদক্ষিনে যাত্রাপাশার দক্ষিন প্রান্তে এ আখড়াটি অবস্থিত।শ্যাম বাউল জগন্মোহনীবাউল বৈষনব ধর্মানুসারী ছিলেন।লাখাই উপজেলার বাঘাসুরা নিবাসী,জগম্মোহন গোসাই প্রায় তিনশত বছর পূর্বে এ  ধর্মমতের প্রবর্তন করেন।এ ধর্মমতে গুরুকে প্রত্যক্ষ ভগবান জ্ঞানক্রমে গুরুকে উপাস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এরা কোন মূর্তিপূজা করেনা তত্বগতদিকে পুরুষদের ব্রক্ষ্মচর্য অবশ্যই পালনীয়।স্হানীয়ভাবে এ সম্প্রদায়ের লোকদের বৈরাগী বলে আখ্যায়িত করা হয়।কৈর্বত সমাজে এ ধর্মমতের প্রচলন সর্বাধিক।বারুনী উপলক্ষে হিন্দু,মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বহুলোক সমাগম হয়।অনেকের বিশ্বাস শ্যাম বাউলের আখড়ায় বারুনী উপলক্ষে অপরাহ্নে অনেক ঝড়,তুফান হয়ে থাকে।

বিঃদ্রঃ বিস্তারিত আখড়া দর্শনে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন