অজানাকে জানা

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

নরত্তোম দাস ঠাকুরের জীবন আলোচনা

একদিন মহাপ্রভু রাজশাহী জেলার পদ্মার তীরবর্তী গোপালপুর গ্রামে আগমন করেন,সেখানে এসে মহাপ্রভু নরত্তোম-নরত্তোম বলে কেঁদে উঠলেন।এরপর বহুবছর পর পদ্মার নদীর নিকটে গোপালপুর নগরে রাজা কৃষ্ণনন্দের ঔরশে ও নারায়নী দেবীর গর্ভে ১৫৩১খ্রিস্টাব্দে মাঘ মাসের শুক্ল পনজ্মীতে শ্রী নরত্তোম দাস ঠাকুর জন্ম গৃহন করেন।তার পিতার অগাধ সম্পত্তি ছিল,কিন্তু কোনদিন ভোগবিলাস তার জীবনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারেনি।বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার ভিতরে জন্ম নেয় অগাধ ভক্তি।এই মহান সাধক,এই সুন্দর রাজ ভোগের কথা চিন্তা না করে,বিলসসিতার প্রতি মর্ত্য না হয়ে ভগবানের প্রেমে সবসময় নিজেকে আত্মউৎসর্গ করেন।তার বাবা সবসময় চাইতেন তার একমাত্র সন্তান সারাজীবন তার রাজ্যভার দেখাশুনা করবেন।কিন্তু সেদিকে তার কোন মন ছিল না।সবসময় তিনি ভক্তি এবং মুক্তির কথা ভাবতেন।একবার তার পিতা রাজকার্য পরিচালনার সুবিধে অন্য জায়গায় গমন করেন,সেই সুযোগে নরত্তোম দাস ঠাকুর তার পিতার অনুপস্থিতে গভীর রাতে কৌশলে মায়ের কাছ বিদায় নিয়ে রাজভোগ ত্যাগ করে তিনি দীক্ষালাভের জন্য বৃন্দাবন গমন করেন।সেখানে লোকনাথ গোস্বামীর ভজন কুটিরে শ্রী জীব গোস্বামী ও শ্রীনিবাস আচার্য গোস্বামীর সঙ্গে নরত্তোম দাস ঠাকুরের সাক্ষাত হয়। লোকনাথ গোস্বামী থেকে তিনি রাধাকৃন্ষ মন্ত্রে দীক্ষা লাভের পর তিনি গুরু সেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন,এবং শ্রীজীব গোস্বামীর থেকে গৃন্থশাস্ত্র অধ্যয়ন করে বৈষনব দরর্শনের উপর বিশাল জ্ঞান লাভ করেন।শ্রীজীব গোস্বামী তার জ্ঞানে ও গুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে ঠাকুর মহাশয় উপাধিতে ভূষিত করেন। একবার ঠাকুর নরত্তোম দাস শ্রীনিবাস আশ্চর্যের সঙ্গে হিন্দুধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে গৌড়দেশে গমন করেন,পথিমধ্যে ধর্মীয় গৃন্থগুলো চুরি হয়ে যায়।শ্রীনিবাসের আদেশ অনুসারে তিনি সন্যাস বেশে গোদাগারি খেতুরি ধামে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।সেখানে ফিরে আসার পর নানা অকল্পনীয় কাজের সমাধানের জন্ তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে,ঠাকুর নরত্তোম তার নিজ এলাকায় মন্দির স্হাপন করেন।সেখানে তিনি গভীর রাত পর্যন্ত গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন।দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা তার কাছে আসতেন শিষ্যত্ব গৃহন করার জন্য,তিনি জাতে কায়স্থের ছেলে ছিলেন লোকে তাকে অবন্জ্ঞা করতেন।কিন্তু পরবর্তীতে তার আধ্যাত্মিক গুনের কারনে হাজার হাজার লোক তার শিষ্যত্ব গৃহন করেন। তার দুই প্রিয় শিষ্য গঙ্গানারায়ন গোস্বামী ও রামকৃষ্ণ গোস্বামী,তাকে মার্জনা করার জন্য নদীর ঘাটে নামেন,সেখানে ঠাকুর নরত্তোমকে সারা শরীর দুধ লেপন করেন।দুধ লেপন করতে করতে তিনি নদীর জলে বিলীন হয়ে যান।১৬১১ খ্রিস্টাব্দে কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পন্ঝমী তিথিতে এই সত্যের মহান সাধক ইহলীলা সংবরন করেন।


রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

নরত্তোম দাস ঠাকুরের জীবনী

নরত্তোম দাস ঠাকুর,যিনি ঠাকুর মহাশয় নামে পরিচিত।নরত্তোম দাস ঠাকুর ১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গৃহন করেন।তার পিতার নাম সুরানন্দ, মাতার নাম নারায়নী দেবী।নরত্তোম দাস ঠাকুর গৌধূলী লগ্নে জন্ম গৃহন করেন তার জন্মের পর জোতিষ মহাশয় তার ভাগ্য গননা করে হতভম্ব হয়ে পড়েন।

শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬

ষড় গোস্বামী

ষড় গোস্বামী ছয় জন বৈষনব সাধক ও পন্ডিত।তারা হলেন।১.সনাতন গোস্বামী।২. রূপ গোস্বামী।৩. রঘুনাথ গোস্বামী ৪. গোপাল ভট্র গোস্বামীও ৫. জীব গোস্বামী।এই ছয় জনকে গৌড়ীয় বৈষনবগন ষড় গোস্বামী নামে অভিহিত করেন।এরা কমবেশি সকলে চৈতন্যদেবের সানিধ্য লাভ করেছেন

জগম্মোহন গোসাইর আখড়া

জগতে যে কয়জন মহান সাধকের জন্ম হয়েছিল জগন্মোহন গোসাই তাদের মধ্যে অন্যতম।গুরুী প্রতি মাথানত করা আমাদের দায়িত্ব সাধন জীবনের অন্যতম প্রন্থা হল গুরুর প্রতি শ্রদ্বা প্রদর্শন করা।গুরু কোন সাধারন মানব নন।তিনি ভগবান দরর্শন লাভের অধিকারী গীতায় ভগবান বলেছেন গুরু কোন সাধারন মানব,আমাকে যে আসনে,গুরুকেও একই আসনে দেখতে হবে।তুমি হয়ত সাধন জীবনে উন্নতি করে মহান, সাধক হয়েছ।কিন্তু তুমি ভূলে যেওনা উনি তোমার নিম্ন সাধনার,উনি তোমার উচ্চ সাধনার গুরু,তাই গুরুকে সাধারন মানব ভাবা উচিত নয়।গুরু শব্দের অর্থ,গু মানে অন্ধকার,রু অর্থ আলো।যিনি অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসেন তিনি গুরু

জগন্মোহনী বাউলের প্রধান আখড়া

জগন্মোহন বাউল এক আধ্যাতিক মহাপুরুষ ছিলেন।জগন্মোহন গোসাই এই আখড়াটি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।তার তিনি এই আখড়ায় সাধনা করতেন।জগন্মোহন বাউলের হাজার ভক্ত,শিষ্য ছিল এবং আছে।তিনি অসাধারন এক মহাপুরুষ ছিলেন।

জগন্মোহনী বাউলদের বিশ্বাস

বাউলদের আদি জগন্মোহনী সম্প্রদায়ের মূলমন্ত্র গুরু সত্য।এরা পরলোকগত গুরুর পাদুকা বা জুতাকে স্বযত্নে সংরখন করে ভক্তি,শ্রদ্বা করে বিয়ে শাদীও হয় তাদের নিজস্ব তরিকায় এরা কোন জাতপাতের ধার ধারেনা,এদের মধ্যে ছোয়াছুইর কোন বালাই নেই এই শ্রেনীর বাউলেরা তিন ভাগে বিভক্ত,গৃহূ,সংযোগী,উদাসী তারা মনে করেন এই জীবনে শ্রষ্টার ভালোবাসা পাওয়া সহজ,কিন্তু তার জন্য প্রচুর সাধনা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬

গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জীবনী নিয়ে আলোচনা

গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু যিনি নিমাই নামে পরিচিত,তিনি বৈষনব ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। তিনি আমাদের জীবনের অন্যতম প্রান পুরুষ ছিলেন।হিংসা,নিন্দা কি জিনিস তিনি তাহা জানতেন না,প্রতিটি মানুষের অন্তরে তিনি বিরাজমান ছিলেন। তিনি সবসম মানুষকে তাদের মুক্তির জন্য,প্রতিটি প্রানীর মুক্তির জন্য সবসময় ব্যকুল থাকতেন।তার উপদেশামৃত গৃহন করে পাপী,তাপী জগাই,মাধাই উদ্বার হয়ে ছিল।ধর্ম প্রচার করতেন মানবের মঙ্গলের জন্যdiv dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">