অজানাকে জানা

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

অক্রূর

কৃষ্ণের পিতৃব্য। যদুবংশে শফন্ধের ঔরসে কাশীরাজ-কন্যা গাড়ি
নীর গর্ভে এর জন্ম হয়। ইনি কৃষ্ণের
পিতৃব্য। উগ্রসেনের এক কন্যাকে
ইনি বিবাহ করেন এবং এর দুই পুত্র
হয়। অক্রুর এক সময়ে কংসের গৃহে
ছিলেন। কৃষ্ণ ও বলরামকে হত্যা
করার জন্য কংস ধনুষজ্ঞের অনুষ্ঠান
করেন। কংস এই যজ্ঞে কৃষ্ণ ও
বলরামকে আনবার জন্য বৃন্দাবনে
অকুরকে পাঠান; কিন্তু ইনি কৃষ্ণের
কাছে গিয়ে কংসের অত্যাচারের
কাহিনী বর্ণনা করে তার প্রকৃত
উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত দিলেন এবং কংসের
অত্যাচার থেকে যাদবদের রক্ষা করার
জন্য কৃষ্ণকে অনুরােধ করলেন। পরে
কৃষ্ণের হাতে কংসের বিনাশ হয়।
কৃষ্ণের স্ত্রী সত্যভামার পিতা সত্রা-

অংশুমান কে ছিলেন?

পৌত্র ও অসমথের পুত্র। সগর রাজার
অশ্বমেধ যজ্ঞের অশ্ব ইন্দ্র অপহরণ করে
ধ্যানমগ্ন মহর্ষি কপিলের আশ্রমে রেখে
যান। সগর রাজার ৬০ হাজার পুত্র
অপহৃত যজ্ঞাশ্বের অন্বেষণে কপিলের
আশ্রমে এসে কপিলকে অশ্বচোর মনে।
করে নানারূপ লাঞ্ছনা করলে কপিলের
যােনলে ভস্মীভূত হয়। পুত্ররা প্রত্যা-
বর্তন করছে না দেখে সগর নিজের
পৌত্র অংশুমানকে তাদের খোঁজে
পাঠান। ইনি পাতালে গিয়ে স্তব-
স্তুতিতে মুনিকে সন্তুষ্ট করে অশ্ব ফিরিয়ে
এনে যজ্ঞ সমাপ্ত করেন এবং মুনির
কাছ হতে জানতে পারেন যে, গঙ্গাকে
স্বর্গ হতে আনয়ন করে গঙ্গার জলে
সগরপুত্রগণের ভস্ম স্পর্শ করাতে পারলে তারা উদ্ধারলাভ করবে।
সগরের মৃত্যুর পর অংশুমান রাজা
হন। গঙ্গাকে আনবার জন্য ইনি
তপস্যায় রত হন। কিন্তু ইতিমধ্যেই
তার মৃত্যু হয়। অংশুমানের পুত্র
দিলীপ এবং দিলীপের পুত্র ভগীরথ।

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০

ভগবান আছেন কিভাবে বুঝব?

ভগবান হচ্ছেন সৃষ্টি কর্তা সকলের মঙ্গল সাধন করা তার কাজ। জগতের সকল পাপী তাপী তার অধীন, তিনি কারো অধীন নন। সকল প্রানী, গাছ, পালা কীট পতঙ্গ তাকে আশ্রয় করে বেচে আছে।  ভগবানের অসীম গুন ও তার ক্ষমতা রয়েছে  নিম্নে
 তাহা আলোচনা করা হল ঃ - 

            চিত্র ঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
ভগবান শব্দটি ঈশ্বর শব্দের সমার্থক শব্দ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু সনাতন শাস্ত্র মতে বলা আছে,  কোন বিশেষ গুন বা শক্তি থাকলে যে কেউ নিজেকে ঈশ্বর মনে করতে পারেন কিন্তু, ভগবান মনে করতে পারেন না।

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

রাবন কে?

রাবন রামায়নের অন্যতম খলনায়ক,তার তিন লক্ষ পুত্র,সোয়া লক্ষ নাতি ছিল। স্বর্গ, মর্ত,পাতালে সকলে তাহাকে ভয় করত ও তার আরাধনা করত,কিন্তু সে ছিল ধর্মহীন লোক। ধর্মহীন লোক সবসময় যে, অন্ধ থাকে রাবন তার প্রমান। প্রকৃত পক্ষে রাবন ছিল রজুগুন এব তার সাথে তমগুন সম্পন্ন লোক।

ব্রাক্ষ্মন,বৈষ্ণব এর মধ্যে পার্থক্য কি?

যিনি ব্রক্ষ্মার অনুসারী তাকে ব্রাক্ষ্মন বলা হয়,যিনি ব্রক্ষ্মাকে উপলক্ষ সাধন ভজন করে তিনি ব্রক্ষ্মচারী নামে পরিচিত। যিনি বিষ্ণুর অনুসারী তাকে বৈষ্ণব বলা হয়,বৈষ্ণবেরা সমাজের অন্যতম বৃহত্তম অংশ জুড়ে রয়েছে।

রামায়ন কি?

রামায়ন সনাতন ধর্মের ত্রেতা যুগের ভগবান, রামের কাহিনী অবলম্বনে রচিত হয়েছে। বাল্মিকী মুনি রাম জন্মগ্রহন করার আড়াই হাজার বছর আগে ব্রক্ষ্মার আদেশে রামায়ন রচনা করেন। রামের কাহিনী বলে এটি রামায়ন নামে পরিচিত,রামায়নের প্রধান চরিত্র রাম,খলনায়ক রাবন,রামের পিতা দশরথ রাজা,তার তিন মাতা,কৌশল্য,সুমিত্রা,কৈকৈয়,তিন ভ্রাতা- লক্ষন, ভরত,শত্রুঘ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

সনাতন ধর্মে বৈষ্ণবগনের নিরামিষ আহার গ্রহন করা উচিত কেন?

গীতায় বলা হয়েছে কাম,ক্রোধ,লোভ এই তিনটি নরকের দ্বার,আরো বলা হয়েছে দেহীদের দেহ ধারনের কারনে তার,শরীরে তিনটি গুন বিদ্যমান সত্ত্বগুন ,রজগুন, ত্বমগুন,রজগুন বৃদ্ধিপেলে শরীরে কাম শক্তি বৃদ্ধি পায়।