অজানাকে জানা

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

সনাতন ধর্মের মূল কে?

সনাতন ধর্মের মূল ভগবান,গীতায় বলা হয়ে ভগবান স্বয়ম্ভু, আরো বলা হয়েছে ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়ম। অর্থাৎ,তার সমান আর কেউ নেই। গীতায় আরো বলা হয়েছে,ত্বমক্ষরং পরমং বেদিত্বং,ত্বমস্য বিশ্বস্য পরম নিধানম্,ত্বমব্যয় শ্বাশত ধর্মগোপ্তা,সনাত্বনস্তং পুরুষমতমে।
অর্থাৎ, আমি সনাতন ধর্মের রক্ষক এবং এক মাত্র প্রান পুরুষ,তাই বলা হয় সনাতন ধর্মের মূল ভগবান। ধর্ম মূল হি ভগবান, অর্থাৎ,ধর্মের মূল ভগবান

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

গীতার কার জন্য রচিত হয়

সনাতন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম গীতা।গীতাকে বলা হয় সনাতন ধর্মের প্রান।গীতা শুধুমাত্র সনাতন ধর্ম নয়,সকল মানব জাতির জন্য শ্বাশত একটি ধর্মগ্রন্থ।গীতা প্রতিটি অধ্যায় মানব জাতির জন্য জ্ঞান স্বরূপ।গীতা মূলত রচিত হয়,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সখা অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে।অর্জুনের মনে অজানা প্রশ্ন,এবং সেই অজানা প্রশ্ন থেকে গীতা রচিত হয়।সেই বানী গুলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বানী এবং তাহা আঠারটি অধ্যায়ে রচনা করা হয়।গীতা মানব জাতিকে ধর্ম,দর্শন,বিজ্ঞান,ইতিহাস,রাজনীতি,জ্ঞান প্রভৃতিতে জানতে সাহায্য করে।

অজানাকে জানা: সাধনা কত প্রকার?



বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বামীকে ত্যাগ করে মহাপ্রভুর ভজনা করা কি উচিত?

এর মূল উদাহরন হল মীরাবাঈ।তিনি রাজরানী ছিলেন।কিন্তু,রাজাকে পরিত্যাগ করে নয়,রাজার স্বামীত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে তিনি কৃষ্ণ সাধনায় রত ছিলেন এবং ঈশ্বর লাভ করে ছিলেন গানের ডালির মাধ্যমে। সনাতন ধর্মে বিবাহ বিচ্ছেদ বলে কোন কথা নেই,তবে অবস্হা অনুসারে তাহা বিবেচনাধীন।মহিলা যদি স্বামীত্ব বজায় রেখে আখড়ার সেবা কার্য করে তাতে কোন দোষ নেই। স্বামী পরম গুরু হওয়া সত্ত্বেও, অনেক মহিলা আছেন যারা ঈশ্বর সাধনায় রত ছিলেন। কিন্তু,আগে অবশ্যই স্বামীর সেবা করা করনীয়। তাহলে,তাহা সফল হবেনা, কারন ভগবান নিজেই বলেছেন আদ্য কর গুরু সেবা পরে কর আমার সেবা।

হিন্দুর্মে কি কারনে কোন বিবাহ অবৈধ বলে বিবেচিত হয়?

প্রথমতঃ হিন্দুবিবাহ চুক্তি নয়,ব্রত।এ আঙ্গিকে দলিল করে বিবাহ শাস্ত্রবিহিত নয়।
দ্বিতীয়তয়ঃ সাবালিকা না হলে কন্যা পাত্রের হাতে তুলে দিলে,তাহা শাস্ত্রবিরুদ্ব আচরন বলে বিবেচিত হবে।
তৃতীয়তঃ কন্যা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ প্রদান করিলে তাহা শাস্ত্রবিরুদ্ধ আচরন বলে বিবেচিত হবে।
চতুর্থতঃ সৎ পাত্র দেখে কন্যাকে অবশ্যই দান করতে হবে, তানাহলে তাহা শাস্ত্রবিরুদ্ধ আচরন বলে বিবেচিত হবে।

সদগুরুর সাধন বলতে কি বুঝায়।

সনাতন ধর্মে সাধনার পথ অনেক রকমের।রামকৃষ্ণের ভাষায় যত মত তত পথ। তাই কোন মত অবলম্বন করলে,তাহা  হতে মুক্তি লাভ করার অবশ্যই পথ থাকবে, তবে তাহা নিজের খুঁজে নিতে হবে।সাধনায় সিদ্ধি লাভ করলেই যে তিনি সদগুরু  হবেন তাহাও নয়।কেউ কেউ সদগুরুর আসন অলংকৃত করেন,কেউ কেউ তাহা করেন না।যেমন চৈতন্যমহাপ্রভু,লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারী,শ্রীরামকৃষ্ণ এরা সিদ্ধ মহাপুরুষ কিন্তু, কাউকে দীক্ষা দেননি। চৈতন্য মহাপ্রভুকে আমরা সবাই ঈশ্বর বলে মানি,তবুও তিনি দেহ ধারন করে মানুষের মাঝেই ছিলেন। সাধনপ্রনালী ঠিক ঠিক বলে দেওয়া সম্ভব নয়।তাহা গুরু নির্দেশিত