অজানাকে জানা

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

রাবন কে?

রাবন রামায়নের অন্যতম খলনায়ক,তার তিন লক্ষ পুত্র,সোয়া লক্ষ নাতি ছিল। স্বর্গ, মর্ত,পাতালে সকলে তাহাকে ভয় করত ও তার আরাধনা করত,কিন্তু সে ছিল ধর্মহীন লোক। ধর্মহীন লোক সবসময় যে, অন্ধ থাকে রাবন তার প্রমান। প্রকৃত পক্ষে রাবন ছিল রজুগুন এব তার সাথে তমগুন সম্পন্ন লোক।

ব্রাক্ষ্মন,বৈষ্ণব এর মধ্যে পার্থক্য কি?

যিনি ব্রক্ষ্মার অনুসারী তাকে ব্রাক্ষ্মন বলা হয়,যিনি ব্রক্ষ্মাকে উপলক্ষ সাধন ভজন করে তিনি ব্রক্ষ্মচারী নামে পরিচিত। যিনি বিষ্ণুর অনুসারী তাকে বৈষ্ণব বলা হয়,বৈষ্ণবেরা সমাজের অন্যতম বৃহত্তম অংশ জুড়ে রয়েছে।

রামায়ন কি?

রামায়ন সনাতন ধর্মের ত্রেতা যুগের ভগবান, রামের কাহিনী অবলম্বনে রচিত হয়েছে। বাল্মিকী মুনি রাম জন্মগ্রহন করার আড়াই হাজার বছর আগে ব্রক্ষ্মার আদেশে রামায়ন রচনা করেন। রামের কাহিনী বলে এটি রামায়ন নামে পরিচিত,রামায়নের প্রধান চরিত্র রাম,খলনায়ক রাবন,রামের পিতা দশরথ রাজা,তার তিন মাতা,কৌশল্য,সুমিত্রা,কৈকৈয়,তিন ভ্রাতা- লক্ষন, ভরত,শত্রুঘ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

সনাতন ধর্মে বৈষ্ণবগনের নিরামিষ আহার গ্রহন করা উচিত কেন?

গীতায় বলা হয়েছে কাম,ক্রোধ,লোভ এই তিনটি নরকের দ্বার,আরো বলা হয়েছে দেহীদের দেহ ধারনের কারনে তার,শরীরে তিনটি গুন বিদ্যমান সত্ত্বগুন ,রজগুন, ত্বমগুন,রজগুন বৃদ্ধিপেলে শরীরে কাম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

শ্রাদ্ধ কি?

মানুষের দেহ ত্যাগের পর তার আত্মার সন্তুষ্টি সাধনের উদ্দেশ্যে যে,মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করা হয় তাকে শ্রাদ্ধ বলা হয়। শ্রাদ্ধ করার সময় অবশ্যই মৃত ব্যক্তি কি আহার পছন্দ বেশি করতেন তাহার প্রতি নজর দান করতে হবে,তানাহলে  শ্রাদ্ধ করা পুরোপুরি বৃথা হবে। শাস্ত্রে নানা প্রকার শ্রাদ্ধের কথা বলা হয়েছে

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

চৈতন্যচরিতামৃত কি?

চৈতন্যচরিতামৃত মূলত একটি বৈষ্ণব ধর্ম গৃন্থ,কলিকালের ভগবান চৈতন্যমহাপ্রভুর চরিত্র অবলম্বনে এই গৃন্থটি রচনা করা হয়।বৈষ্ণব সমাজে এই গৃন্থের প্রচুর প্রচলন রয়েছে। এই গৃন্থ সমস্ত বৈষ্ণবগনের পরিচয় পাওয়া যায়,এবং বৈষ্ণবদের কি কি করণীয় তাহা জানা যায়। সনাতন ধর্ম তিনটি উপশাখায় বিভক্ত। ১.বৈষ্ণব ২.শাক্ত ৩.ব্রাক্ষ্ম তার মধ্যে শুধুমাত্র বৈষ্ণবগন এই গৃন্থটি অনুসরন করেন।

গীতা কেন রচনা করা হয়েছে?

গীতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বানী,দ্বাপর যুগে গীতা রচনা করা হয়,মহামুনি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব বেদ ও গীতা রচনা করার আদেশ স্বয়ং ভগবান থেকে পেয়েছিলেন,গীতা রচনা করা মূল উদ্দশ্য হচ্ছে মানব জাতির মঙ্গলের জন্য,কৌরব ও পান্ডবদের ধর্ম রক্ষার্থে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই যুদ্ধে উপস্হিত ছিলেন এবং নানা প্রকার ভক্তির কথা শুনান,এই কারনে গীতা রচনা করা হয়েছিল।

সনাতন ধর্মের মূল কে?

সনাতন ধর্মের মূল ভগবান,গীতায় বলা হয়ে ভগবান স্বয়ম্ভু, আরো বলা হয়েছে ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়ম। অর্থাৎ,তার সমান আর কেউ নেই। গীতায় আরো বলা হয়েছে,ত্বমক্ষরং পরমং বেদিত্বং,ত্বমস্য বিশ্বস্য পরম নিধানম্,ত্বমব্যয় শ্বাশত ধর্মগোপ্তা,সনাত্বনস্তং পুরুষমতমে।
অর্থাৎ, আমি সনাতন ধর্মের রক্ষক এবং এক মাত্র প্রান পুরুষ,তাই বলা হয় সনাতন ধর্মের মূল ভগবান। ধর্ম মূল হি ভগবান, অর্থাৎ,ধর্মের মূল ভগবান

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

গীতার কার জন্য রচিত হয়

সনাতন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম গীতা।গীতাকে বলা হয় সনাতন ধর্মের প্রান।গীতা শুধুমাত্র সনাতন ধর্ম নয়,সকল মানব জাতির জন্য শ্বাশত একটি ধর্মগ্রন্থ।গীতা প্রতিটি অধ্যায় মানব জাতির জন্য জ্ঞান স্বরূপ।গীতা মূলত রচিত হয়,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সখা অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে।অর্জুনের মনে অজানা প্রশ্ন,এবং সেই অজানা প্রশ্ন থেকে গীতা রচিত হয়।সেই বানী গুলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বানী এবং তাহা আঠারটি অধ্যায়ে রচনা করা হয়।গীতা মানব জাতিকে ধর্ম,দর্শন,বিজ্ঞান,ইতিহাস,রাজনীতি,জ্ঞান প্রভৃতিতে জানতে সাহায্য করে।

অজানাকে জানা: সাধনা কত প্রকার?